
শেরপুর কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাদানের জন্য সুপরিচিত। এই কলেজটি শেরপুর জেলা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে আসছে।
প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস:
শেরপুর কলেজের প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬৪ সালে, যা তখনকার সময়ে এলাকার শিক্ষার মানোন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখেছিল। এটি প্রথমে একটি সাধারণ কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও ধীরে ধীরে এর সুনাম এবং একাডেমিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এটি জাতির শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
একাডেমিক কার্যক্রম:
কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাঠদান করা হয়। এছাড়াও, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (অনার্স) পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। একাডেমিক পরিবেশ উন্নত করার লক্ষ্যে এখানে মানসম্পন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকার একটি দল রয়েছে।
অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা:
শেরপুর কলেজে রয়েছে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার এবং তথ্যপ্রযুক্তি ল্যাব। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া কার্যক্রম এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের সাফল্য:
প্রতিবছর শেরপুর কলেজের শিক্ষার্থীরা বোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করে। এ কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।
সামাজিক অবদান:
শেরপুর কলেজ শুধু শিক্ষাদানেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের শিক্ষার প্রসারে এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালা এবং সামাজিক কার্যক্রম আয়োজন করে থাকে।
শেরপুর কলেজ শেরপুর জেলার শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এটি শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান এবং তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে।