
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারা দেশের সব প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানে শাটডাউন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
সমাচার প্রতিবেদক
তিন দফা দাবিতে দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন।
ঘোষণায় বলা হয়, বুয়েটসহ দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার বুয়েটে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় সেখানে কার্যত কর্মসূচি পালিত হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, দুপুরে সার্বিক বিষয় নিয়ে একটি বৈঠক হবে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শাহবাগ অবরোধে নামেননি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একত্রিত হননি।
প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের তিন দাবির মধ্যে রয়েছে— ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ লিখতে না দেওয়া, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাউকে পদোন্নতি দিয়ে নবম গ্রেডে উন্নীত করা যাবে না এবং দশম গ্রেডের চাকরিতে ঢোকার ক্ষেত্রে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দিতে হবে।
গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা বেলা দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যেতে শুরু করেন। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। তখন লাঠিপেটার ঘটনাও ঘটে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন।
পুলিশের লাঠিপেটার পর তারা বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আবারও শাহবাগে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। রাত সাড়ে ১০টার পর তারা শাহবাগ মোড় ছেড়ে যেতে থাকেন। গতকাল রাতেই শাহবাগে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ওয়ালী উল্লাহ আজ বিকেল পাঁচটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের কাউন্সিল হলে সভা হবে বলে জানান। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ওই সময় বুয়েটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ দেশের সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন অব ইঞ্জিনিয়ার্স ঘোষণা করেন।