
রেজা কিবরিয়া
সমাচার ডেস্ক
পরস্পরের প্রতি তীব্র আকর্ষণ থেকে বন্ধুত্ব থাকে সম্পর্কের শুরুতে, এটি যখন প্রেমে পরিণত হয় এরপরের সময়টা আনন্দময় হয়। তখন প্রতিটি অনুভূতি হয় খুব মোহময়। দাম্পত্য জীবন হয় স্বপ্নীল। তবে সেই প্রেম বা সম্পর্ককে ধরে রাখা মুখের কথা নয়। সম্পর্ক অটুট রাখতে সঙ্গীর বয়স গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। এক গবেষণায় উঠে এসেছে, সম্পর্ক ধরে রাখতে বয়সের আদর্শ পার্থক্য নিয়ে কিছু তথ্য।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আটলান্টার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বয়সের পার্থক্য নিয়ে এক গবেষণায় কিছু তথ্য তুলে ধরেছে।
তারা ৩০০০ জনের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছে। সেখানে উঠে এসেছে দু’জনের সম্পর্কে ৫ থেকে ৭ বছরের পার্থক্য, ১০ বছরের ফারাক ও সমবয়সীদের সম্পর্ক কেমন হতে পারে।
৫ থেকে ৭ বছরের পার্থক্য: গবেষণায় বলা হচ্ছে, যে দম্পতিদের বয়সের পার্থক্য ৫ থেকে ৭ বছরের, সেখানে ১৮ শতাংশ সুযোগ রয়েছে বিচ্ছেদের। তুলনামূলকভাবে সমবয়সীদের মধ্যে সম্পর্ক অনেক বেশি স্থায়ী।
১০ বছরের পার্থক্য: দু’জনের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ১০ বছরের হলে সেই সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৩৯ শতাংশ। এ ছাড়াও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যে সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে দায়ী বলে মনে করছেন গবেষকরা।
২০ বছরের পার্থক্য : সঙ্গীর বয়সের পার্থক্য যদি ২০ বছরের হয়, তাহলে সেই সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ। সেক্ষেত্রে এ-ও বলা হয়েছে যে, যদি বয়সের পার্থক্য ১ বছরের হয়, তাহলে সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৩ শতাংশ থাকে।
সম্পর্ক ও সন্তান : গবেষণা এ-ও বলছে যে, সবসময় বয়সই যে একমাত্র বিচ্ছেদের কারণ হচ্ছে, তা নয়। রয়েছে আরও পারিপার্শ্বিক বিষয়। গবেষণায় বলা হচ্ছে, বিয়ের আগে সন্তান এলে সেই জুটির সম্পর্ক বেশ টেকসই হয়, সেক্ষেত্রে বিয়ের পরে সন্তান হওয়ার পরও অনেক সময় বিচ্ছেদের কবলে পড়তে পারেন ৫৯ শতাংশ।
এ ছাড়াও গবেষণা বলা হচ্ছে, সম্পর্ক স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে সমবয়সীদের প্রেমে। সেক্ষেত্রে একই বয়সের দু’জনের মধ্যে প্রেম সম্পর্ককে স্থায়ী করে বলে ইঙ্গিত গবেষণার।