
নিউজিল্যান্ডে প্রথম বর্ষ বরণ হয়। ছবি: এপি
সমাচার প্রতিবেদক
নানা ধরনের উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হলো খ্রিষ্টীয় বছর ২০২৫। আজ ১ জানুয়ারি।
১১টা ৫০ থেকে শুরু হয়েছে কাউন্টডাউন। এরপর ৯…, ৪, ৩, ২, ১, ০০। বাজল রাত ১২টা। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো নানা রঙের আলোকচ্ছটা, বিভিন্ন আতসবাজির শব্দ। উজ্জ্বল হলো রাতের আকাশ। জেগে উঠলো প্রকৃতি। পানিতে ফুটলো তার চোখজুড়ানো প্রতিচ্ছবি। মানুষের উল্লাস। এ চিত্র বিশ্বজুড়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার।
এ বছর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিদায় নিয়েছে ২০২৪ সাল। নানা ঘটন–অঘটনে বছরটি বেশ আলোচিত ছিল। দেশে দেশে যেমন নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পালাবদল হয়েছে, দুর্যোগ–বিপর্যয়ও কম হয়নি। বিশ্বজুড়ে নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধবিগ্রহ। তবে পুরোনোকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে চান বিশ্ববাসী। তাই নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছেন তাঁরা।
এবার নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড থেকে বর্ষবরণ শুরু হয়েছে। বিশ্বের বড় শহরগুলোর মধ্যে টাইম জোনের হিসাবে সেখানে বর্ষ বরণ হয়।
অকল্যান্ড শহরের স্কাই টাওয়ারে আতশবাজি জ্বালিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় ২০২৫ সালকে। টাওয়ারের চূড়ায় তখন ভিন্ন রঙের খেলা। সেখান থেকে ছোড়া হয় আতশবাজি। এর আলোয় আলোকিত হয় পুরো শহর। এরপর পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এই উৎসব।
টাইম জোনের ভিন্নতার কারণে একেক দেশে একেক সময় বর্ষ বরণ হয়। এই উৎসবের প্রচলন হয় চীন থেকে। এরপর এটি পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও প্রত্যেক জাতি বা সম্প্রদায়ের আলাদা বর্ষ, মাসের বরণরীতি রয়েছে।